বেশি টক হওয়ার কারণে অনেকেই কামরাঙ্গা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর কামরাঙা। এমনকি এমনিতে না খেতে পারলেও চাটনি হিসেবে খাওয়া যায় কামরাঙা। ফলটির উপকারিতার কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-র মতো নানা উপকারী উপাদান রয়েছে কামরাঙায়। প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গায় আছে ৫০ কিলো ক্যালোরি খাদ্য শক্তি, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ৫.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এছারাও কামরাঙ্গায় পাওয়া যায় কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গায় ৬.১ মি.গ্রাম ভিটামিন সি, ০.৪ গ্রাম খনিজ, ১.২০ মি. গ্রাম আয়রন এবং ১১ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
১. আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় কামরাঙ্গা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে।
২. খাবারের হজম ঠিক রাখতেও উপকারী কামরাঙ্গা। সেই সাথে খাবারের রুচি বাড়ায় কামরাঙ্গা।
৩. এই ফল শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছারাও এতে কিছু পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪.ডায়াবেটিস রোগীরা কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাবেন।
৫. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কামরাঙ্গা। তবে কামরাঙ্গায় বিপুল পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে যা কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
এজন্য কামরাঙ্গা ভুলেও খালি পেটে খাওয়া যাবে না। কারণ তাতে অক্সালিক অ্যাসিড সরাসরি গিয়ে প্রভাব ফেলে কিডনিতে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।